Birbhum

Mar 02 2023, 08:55

*পানীয় জলের জন্য বিধায়কের কাছে আর্জি গ্রামবাসীদের, পারুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায়*


বীরভূম:- আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃনমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দিদির সুরক্ষা কবচ নামক কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত ভিত্তিক এলাকায় যাচ্ছেন দলীয় নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও সাংসদরা।পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। সেইরূপ বুধবার বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ও বাড়ি বাড়ি যান। সেইসাথে জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় করমকাল গ্রামে সভা করেন।

এলাকার মানুষের সমস্যা এবং অভাব অভিযোগ রয়েছে কিনা তা শোনার জন্য বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করেন।বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্প গুলি পাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খবরাখবর নেন সরাসরি উপভোক্তাদের কাছে গিয়ে।এদিন জামথলিয়া গ্রামে এসে ও গ্রামবাসীদের অভাব অভিযোগ শোনেন সিউড়ি বিধানসভার বিধায়ক তথা বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী।

গ্রামবাসীরা বিধায়ককে কাছে পেয়ে পানীয় জলের জন্য আর্জি জানান। বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী গ্রামবাসীদের আশ্বাস দেন দু'তিনদিনের মধ্যে জলের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।উল্লেখ্য গ্রামবাসীদের কাছে থেকেই জেলা পিএইচ ই বিভাগের আধিকারিকের সাথে ফোনে কথা বলেন এবং এবং গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন যে দু তিন দিনের মধ্যে সোলার সাবমারসিবেল গুলি ঠিক করে দিয়ে যাবে।

রাউতাড়া, খোসবাসপুর সহ অকেজো হয়ে পড়ে থাকা সমস্ত সোলার সাবমারসিবেল গুলি ঠিক করে দিয়ে যাবে। বিধায়ক বলেন এটা তাদের ন্যায্য দাবি বা অধিকার । এগুলো আমাদের ও দায়িত্ব কর্তব্য।দু তিন মাস আগে খারাপ হয়েছে,আমাকে আগে খবর দিলে তখনই ব্যবস্থা করে দেওয়া হতো।

Birbhum

Mar 01 2023, 18:31

গ্রামবাসীদের মধ্যে চাঁদা তুলে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান


বীরভূম:- বীরভূম জেলার রামপুরহাট ১নং ব্লকের মাশরা গ্রামপঞ্চায়েতের চাঁদনী গ্রামে ১৫০ টি পরিবারের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসী পানিয়জলের সমস্যায় ভুগছেন। গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহের ফলে হয়তো আরো পানিয়জলের সমস্যায় ভূগতে হতে পারে।সেই কথা উপলব্ধি করে ৯০ টি পরিবার উদ্যোগী হয়ে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে প্রাই ২০০০ ফুট পানীয় জলের পাইপ লাইনের কাজ শুরু করে নজীর সৃষ্টি করে।

প্রায় তিন চারদিন পরিশ্রম করে মাটি খননের কাজ শেষে পাইপ লাইন বসাতে শুরু করেছে।উদ্যোগী গ্রামবাসীদের পরিস্কার বক্তব্য স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে জানানো স্বত্ত্বেও কোন পানীয় জলের কোন সমাধান হয়নি। তাই নিজেরা ব্যক্তিগত চাঁদা দিয়ে এবং একত্রে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়া হয়।তাদের আরও বক্তব্য যে,ভোট আসলে নেতা মন্ত্রী কে দেখা যায় বাড়ির দরজায়।কিন্তু ভোট শেষ তো নেতাদের দেখাও শেষ । তাই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট বয়কটের পথে যেতে পারি বলে হুঁশিয়ারি।

এ সম্পর্কে মাশরা পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ কিস্কু জানান বিষয়টি আমার জানানেই, তাই কোন কথা বলতে পারব না।

পরে যদিও রামপুরহাট ১ নং ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুদ্দিন হোসেন জানান ভোটের পরে কাজ শুরু হবে। তাছাড়া কোন রাজনৈতিক দল এ কাজটা করেনি গ্রামবাসীরা নিজেদের স্বার্থে এটা করেছে, এটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।